গরমে এমনিতেই শোচনীয় অবস্থা রাজ্যবাসীর । তার উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং (Load Shedding) । অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ । ঘরে না থাকতে পেরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন । ফুটপাথে গিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে । রোগীদের অবস্থা তো আরও শোচনীয় । বিদ্যুতের দাবিতে চলছে অবরোধও । গত তিন-দিন ধরে শহর ও শহরতলির বিস্তীর্ণ অংশের ছবিটা অনেকটা এরকমই । বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে নাজেহাল বেলঘরিয়া, নিমতা, দক্ষিণেশ্বর (Dakhineswar), সিঁথি (Sinthi), হরিদেবপুর (Haridevpur), বাঘা যতীন (Baghajatin) ও বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা । কোথাও বিদ্যুৎহীণ টানা ৬ ঘণ্টা, কোথাও আবার ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি ।
কেন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ? বিদ্যুতের বেশি খরচই এর কারণ বলছে সিএসসি । সংস্থার এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, এটা বিদ্যুৎ ঘাটতির বিষয় নয়। তাঁদের ভান্ডারে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ রয়েছে । আসলে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা গত কয়েকদিন ধরে বেড়ে গিয়েছে । কারও বাড়িতে একটা এসির বদলে চলছে একাধিক, বৈদ্যুতিক সামগ্রীও বেশি ব্যবহার হচ্ছে । তাই, বিদ্যুৎ একটু বেশি লাগছে । সেই কারণেই কিছু এলাকায় এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে । সেক্ষেত্রে, বৈদ্যুতিক সামগ্রী হিসেব করে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে সিএসসির থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ।
আরও পড়ুন, West Bengal Weather Update : কলকাতায় ৪০, বাঁকুড়া-বীরভূমে ৪৩, বৃষ্টির অপেক্ষায় রাজ্যবাসী
চৈত্রের শেষে থেকেই ক্রমাগত বেড়েই চলেছে গরমের দাপট । বৈশাখ পড়তে না পড়তেই ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা । মঙ্গলবারও কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে । বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে তাপমাত্রা ।