মঙ্গলবার হাঁসখালিতে এসে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের বার্তা দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র(TMC MP Mahua Moitra)। পকসো আইনেই দোষীদের শাস্তি হবে বলেও নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন তৃণমূল সাংসদ।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন মহুয়া(Mahua Moitra)। নিহত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন ওই নাবালিকার বাবা, মা এবং অন্য আত্মীয়দের সঙ্গেও। এর পর মহুয়া বলেন, ‘‘এটা ধিক্কারজনক ঘটনা। দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব এর তদন্ত করছে। যে এই কাজ করেছে, সেই দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে। তার এক বন্ধুও গ্রেফতার হয়েছে। মূল অভিযুক্ত এবং তার দুই বন্ধু ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন- Hanskhali Rape Case: হাঁসখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১ অভিযুক্ত, মঙ্গলবার তোলা হবে আদালতে
হাঁসখালির ওই নির্যাতিতার চিকিৎসা করেছিলেন স্থানীয় এক চিকিৎসক। তাঁর সঙ্গেও দেখা করার কথা মহুয়ার। ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। যে শ্মশানে ওই নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হয়েছে, সেখানেও যান মহুয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের (কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস) চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী(Ananya Chakraborty)।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের(Rape) অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল(TMC) পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণা এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে পরদিন ভোরবেলায় ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ ‘জোর করে’ শ্মশানে(Burning Ghat) দাহ করে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায়, সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ।