অবশেষে জালে অভিযুক্ত। ঝাড়গ্রামে এক গর্ভবতী হাতিকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অজয় মাহাত। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বন দফতরের হুলা পার্টির আর এক সদস্য দীপক মাহাতকেও। তাদের দু জনকেই ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ অগাস্ট ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকেছিল চার হাতি। সেই দলে ছিল দুই শাবক। গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বাড়ি থেকে একটু দূরেই এক গ্রামবাসীকে পিষে মারে হাতি। এর পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। হাতিদের জঙ্গলের দিকে ঠেলতে ডাকা হয় হুলা পার্টিকে।
অভিযোগ ওই হুলা পার্টিতেই ছিলেন অজয় এবং দীপক। তাঁদের মধ্যে অজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গর্ভবতী ওই হাতিকে প্রথম গায়ে আগুন দিয়ে, পরে লোহার রড পিঠের মধ্যে গেঁথে দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। আহত ওই হাতিকে প্রথমে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় প্রথমে দায় এড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বন দফতরের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছিল, হাতি খুনের ঘটনায় জড়িতরা হুলা পার্টির সদস্য নন। কিন্তু পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে ধৃত দুই অভিযুক্তই রাজ্যের বন দফতরের হুলা পার্টির সদস্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হুলা পার্টিতে নিয়োগেও দুর্নীতি রয়েছে। এখানে চলে টাকার খেলা।
পঞ্চায়েতের সদস্য কল্যাণ মাহাতের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে এখন নিয়োগ করা হচ্ছে হুলা পার্টিতে। তার জেরেই যোগ্যদের বাইরে রেখে, অযোগ্যদের বেশি করে নিয়োগ করা হচ্ছে। তার জেরেই গত ১৫ অগাস্ট প্রাণ হারাতে হল গর্ভবতী ওই হাতিকে।