বীরভূমে অনুব্রত মন্ডলকে সভাপতি পদে বহাল রেখে দলের জেলা সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল আনল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার হবে রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল। তার আগে জেলা নেতৃত্বের বদল ঘটাল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় সাংগঠনিক সভাপতি করা হয়েছে বিশ্বজিৎ দাসকে।
সম্প্রতি কাজের নিরিখে রাণি রাসমণির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। রাজনৈতিক মহলের দাবি, যিনি খাতায় কলমে এখনও বিজেপি বিধায়ক। গত বিধানসভা ভোটে বনগাঁ থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ। ভোট মিটতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে ফিরে এসেছিলেন তৃণমূলে।
সাংগঠনিক এই রদবদলে বেশকিছু নতুন মুখ এনেছে তৃণমূল। যার মধ্যে চমক বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক সাওনি সিনহা রায়কে। আলাদা করা হয়েছে জঙ্গিপুরকে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ খলিলুর রহমান। দার্জিলিংও এখন থেকে দুটি সাংগঠনিক জেলা। পাহাড় সামলাবেন শান্তা ছেত্রী, সমতলের দায়িত্বে প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে পাপিয়া ঘোষ। উত্তরবঙ্গের আরেক জেলাতেও মহিলা মুখ। জলপাইগুড়ির নেতৃত্বে মহুয়া গোপ।
রাজ্য মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন পার্থ ভৌমিক। এই জল্পনার ইঙ্গিত মিলছে, তৃণমূলের সভাপতি বদলের তালিকাতেও। কারণ, নতুন তালিকায় দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসেবে পার্থর নাম নেই। এমন কী কোনও নতুন সভাপতি নিয়োগ করাও হয়নি। ফলে মনে করা হচ্ছে, চেয়ারম্যান হিসেবেই এই সাংগঠনিক জেলায় কাজ চালাবেন নির্মল ঘোষ। শ্রীরামপুরেও বদল এনেছে তৃণমূল। স্নেহাশিস চক্রবর্তীর জায়গায় সভাপতি করা হয়েছে অরিন্দম গুঁইকে। গত বিধানসভা ভোটে এই অরিন্দমের হাতেই পরাজিত হয়েছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
এসবের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা ও হাওড়ায় সাংগঠনিক পদে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। দ্বন্দ্ব এড়াতে কোচবিহারে সরানো হয়েছে পার্থপ্রতিম রায়কে। সভাপতি করা হয়েছে অভিজিৎ দে ভৌমিককে।