নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চার দিন তিনি দিল্লিতে থাকবেন। নীতি আয়োগের বৈঠক ছাড়াও সেখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী এবং কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
Babul Supriyo: মন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে আশাবাদী বাবুল, কটাক্ষ করলেন বিজেপিকে
সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দিল্লির বাসভবনে দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
উল্লেখ্য, শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল। দলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। এছাড়া আর কয়েকদিন পরেই উপরাষ্ট্রপতি ভোট। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় দিল্লি পৌঁছবেন মমতা। বিমানবন্দর থেকে তিনি যাবেন ৭ মহাদেব রোডে। সেখানেই সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনে দলীয় বৈঠক হওয়ার কথা।
শুক্রবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেখা করতে পারেন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও।
এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বামেদের বক্তব্য, “দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবহিত করেছি। দেখা যাক কী হয়।”