একবার নয়, পর পর তিনবার নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছিল স্থানীয় মুদি দোকানের কর্মচারী। তিনবারই পুলিশের সাহায্যে ঘরে ফেরে মেয়ে। তবে শেষবার মেয়েটির বাবা ক্ষুদিরাম পাল ওই তরুণকে পাড়ায় ঢুকলে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলেই অভিযোগ। কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে পাড়ায় ঢুকতেই প্রথমে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই তরুণকে। পরে কাটারি দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণের। তবে অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম পাল ঘটনার পর থেকেই ফেরার। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চুঁচুড়ার ঝিঙেপাড়ায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঝিঙেপাড়ার দোকানে কাজ করছিলেন মৃত তরুণ। রাত প্রায় ৯টা নাগাদ বাঁশ ও কাটারি নিয়ে তার উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম ও তার স্ত্রী। অভিযোগ, রোহিতকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। স্থানীয়রা চেষ্টা করেও আটকাতে ব্যর্থ হন। রাত ১২টা নাগাদ রাস্তা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় রোহিতকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- Haridebpur Murder Update: 'ভিকি কোথায়', অয়ন মৃত জেনেও তার বাড়ি গিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ প্রেমিকার
মৃত রোহিত রাম ঝিঙেপাড়ার এক মুদির দোকানে কাজ করত। সেই সময় থেকেই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ। তবে এই সম্পর্ককে মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগেও মেয়েটি তিনবার পালিয়েছিল রোহিতের সঙ্গে। শেষবার মেয়েকে বিহারের সমস্তিপুর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। তখনই মেয়েটির বাবা রোহিতকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।