কেরলে কাজে যাচ্ছেন। এই বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন যুবক। প্রায় ২ মাস পর বাড়িতে এল মৃতদহ। জানা গিয়েছে, কেরলের নাম করে সুভাষগ্রামে প্রেমিকার সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত যুবকের নাম নজরুল মণ্ডল। বয়স ৩৮। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। পরিবারের দাবি, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও তুলেছেন সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২ মাসে আগে কাজের নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। এরপর প্রতিবেশী রেজিনা সরদারকে সঙ্গে নিয়ে বারুইপুরের সুভাষগ্রামের কাছে একটি বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন নজরুল। কয়েকদিন পর সেই পাড়ার আরও এক যুবক সফিকুল সরদারও সেই বাড়িতে আসেন। তাঁর সঙ্গে আসেন রেজিনার বোনঢি সায়দা সরদার। চারজন ওই বাড়িতেই থাকা শুরু করে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, লক্ষাধিক টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে যান নজরুল। ওই চারজনের সব খরচ সামলাতেন তিনি। এদিকে একমাস থাকার পরই সেখান থেকে ফিরতে চান নজরুল। এরপরই চাপে পড়ে যায় রেজিনারা। অভিযোগ, তিনজন মিলে নজরুলকে মারধর করে। শেষে ওষুধ খাইয়ে খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলে অভিযোগ ওই তিন জনের বিরুদ্ধে। প্রত্যককে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে নজরুলের পরিবার।