দশমীর রাতে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনের রাতে মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণীর। ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাঁর ভাইকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয় রাজ্য সরকার। স্থায়ী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হোমগার্ডের কাজ দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে চাকরি প্রত্যাখ্যান করলেন মৃতের দাদা সুদীপ পোদ্দার। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্থায়ী চাকরির আর্জিও জানিয়েছেন যুবক।
দশমীর রাতের ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মালবাজার গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক পরিবারের এক জনকে চাকরির প্রস্তাবও দেন তিনি। ১৮ অক্টোবর প্রশাসনিক বৈঠকের সময় তাঁদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। ইতিমধ্যে অনেকেই চাকরিতে যোগও দিলেও সুদীপ ওই চাকরি ফিরিয়ে দিলেন।
সুদীপের অভিযোগ, ‘‘আমাদের স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর দেখি চাকরিটা স্থায়ী নয়। তাই এই চাকরিতে যোগ দেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
এই প্রসঙ্গে সিপিএম-এর অভিযোগ চুক্তিভিত্তিক চাকরি দিয়ে মৃতের আত্মীয়দের অপমান করা হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, সরকারের দেওয়া এই চাকরিতে নো ওয়ার্ক নো পে। অস্থায়ী চাকরি দিয়ে আদতে মানসিক চাপ দেওয়া হল।
৫ অক্টোবর, দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয় আট জনের। ঘটনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারও মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।