কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মাটিতে দেশি ও বিদেশি আমের চাষ করে নজর কেড়েছেন পেশায় স্কুল শিক্ষক রূপম পাল। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা রূপম পাল ছাটরামপুর হাইস্কুলের শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ফল চাষ করা তাঁর নেশা। এর আগে ড্রাগন ফ্রুট, হলুদ তরমুজ, কালো আখ, রামবুটান, স্ট্রবেরি, আপেল, লাল কলা, মৌসম্বি, কমলা, কুল, পেয়ারা সহ নানা ফল চাষ করেছেন।
এবারে নানা রকমের ফলের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি প্রায় ৭০ প্রজাতির আম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পেশায় শিক্ষক রূপম। এক বিঘা জমিতে ১৬০টি চারা লাগিয়েছিলেন প্রায় তিন বছর আগে। তারমধ্যে ৮০ শতাংশই বিদেশি ও ২০ শতাংশ দেশি আম গাছ ছিল। এই বছর গরমে তাঁর বাগানের ৭০ শতাংশ গাছেই ফলন ধরেছে। এক একটি আমের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হয়েছে। তাঁর চাষ করা দেশি ও বিদেশি আমের মধ্যে মালগোবা, কেসর, আলভাগচু, মিয়াজকি, ব্যানানা, কিউজাই, চাকাপাত, অস্টিন, আরটুইউটু, ব্ল্যাকস্টোন, পার্পল, ডকমাই, কারাবাও, হংচুয়াং, আলফোনসো, পুষা অরনিকা, পুষা সুরিয়া ইত্যাদি রকমের আম রয়েছে।
আরও পড়ুন - কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার দিনই বিক্ষোভের মুখে রেখা পাত্র, অভিযোগ হাতাহাতির
পেশায় শিক্ষক রূপম পাল জানিয়েছেন, 'উত্তরবঙ্গের মাটিতে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দেশি আমের চাষ করে অসফল হয়েছেন অনেক চাষি। উত্তরবঙ্গের বিশেষ করে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের প্রতিকূল। তাই এখানে বিদেশি আমের চারা এনে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছি। তাতে লক্ষ করা যাচ্ছে বিদেশি জাতের আমের ফলন ভালো এবং রোগ পোকার আক্রমণ অনেকটাই কম।'