২০১৪ টেট অনশনকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের পর থেকেই ক্রমেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। শুক্রবার সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আটক হতে হয় বাম ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে। তারপরেই এই ঘটনার নিন্দা করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা করা হয়েছে। ৮৪ ঘন্টা অনশনের পর যেভাবে চাকরিপ্রার্থীদের উপর তান্ডব চালালো বিধাননগরের পুলিশ, তা কার্যত নজিরবিহীন। আইন অনুযায়ী, সূর্যাস্তের পর কোনও মহিলাকে গ্রেফতার করা যায় না। বিধাননগরে তাও হয়েছে বলেও সুর চড়ান সেলিম। এরপরেই সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি চান না কারও চাকরি যাক। উত্তরে সেলিম জানান, তিনি চান মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি যাক। তাহলেই বাকিদের চাকরি বেঁচে যাবে।
অন্যদিকে, বিধাননগর নর্থ থানার সামনে বিক্ষোভ সভা থেকেও রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি জানান, ধরা পড়ার সময় এসে গিয়েছে বলেই মুখ্যমন্ত্রীর মাথা কাজ করছে না। এর পাশাপাশি, রাতের অন্ধকারে অনশনকারীদের হটিয়ে দিয়ে প্রশাসন ১০০ ভাগ বেআইনি কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিধাননগর নর্থ থানায়। বিনা বিচারে বাম নেতা-কর্মীদের আটকের প্রতিবাদে থানার ভেতরে-বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপরেই সেখানে যান বামেদের দুই আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এবং সায়ন বন্দোপাধ্যায়। এসে পৌঁছান সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। থানার বাইরে শুরু হয় বামেদের বিক্ষোভ সভা।