মঙ্গলবারের ধর্মতলায় লাল ঢেউ। বাম ছাত্র-যুবদের 'ইনসাফ' সভা ভাসল জনজোয়ারে। এই প্রথম বামেদের সভায় প্রকাশ্যে দেখা গেল নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খানকে। বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ডাকে ছেলে আনিসের জন্য চাওয়া 'ইনসাফ' সভায় হাজির হয়েছিলেন সালেম খান। আর এই মঞ্চ থেকেই ফের একবার রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি-তৃণমূল যোগকে উস্কে দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ধর্মতলার সভা থেকে ফের তাঁর অভিযোগ, বাংলায় আরএসএসের হাতকে শক্ত করছে তৃণমূলই। তবে সেলিমের এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন পাল্টা দাবি করেছেন এই বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করেছিল সিপিএম। তাই ধর্মতলার এই সভায় বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।
শাসক তৃণমূল যাই বলুক না কেন, বিনা অনুমতিতে সভা করে ধর্মতলার উপর এক নজির সৃষ্টি করলেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রে বামেদের মুখ ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের এই নেত্রী। সেই মীনাক্ষীই এদিন ভিড় সামলে বামেদের জনসভাকে ফিরিয়ে আনলেন পুরনো জায়গাতেই। কথা ছিল ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা করবে বামেরা। কিন্তু অনুমতি ছিল না পুলিশের। তাই বামেদের ঠেলে দেওয়া হয় ওয়াই চ্যানেলের দিকে। কিন্তু বেলা বাড়তেই সেই ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনেই ফিরে আসেন বাম ছাত্র-যুবরা। মঞ্চ থেকে আনিসের জন্য 'ইনসাফ' চান মীনাক্ষী। তিনি জানান, 'আনিসের খুনিদের শাস্তি দিতে হবে।' তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত বাম ছাত্র-যুবরা যে লড়াইয়ের রাস্তা থেকে একচুলও সরবে না, তাও বুঝিয়ে দেন 'ক্যাপ্টেন' মীনাক্ষী।
আরও পড়ুন- SFI-DYFI Insaaf Sabha: পুলিশি অনুমতিকে থোড়াই কেয়ার, ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনেই শুরু 'ইনসাফ সভা'
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধর্মতলার দখল নেয় বাম ছাত্র-যুবরা। সভা শুরুর আগেই থিকথিকে ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর। সভা শুরুর পরেও বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল এসে পৌঁছায় ধর্মতলায়। জানা যায়, সভা উপলক্ষে সোমবার রাতেই বিভিন্ন জেলা থেকে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা এসে পৌঁছায় কলকাতায় (Kolkata)। সোমবার রাতে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে পুরুলিয়া থেকে কর্মীরা আসেন। এছাড়াও বীরভূম, বাঁকুড়া এবং অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন ট্রেনে রাতে কর্মীরা হাওড়া স্টেশনে আসেন।