আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল গোটা বাংলা। ঘটনার শাস্তি সহ বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে কলকাতা, বাংলার জেলা, দেশের বিভিন্ন রাজ্য এমন কী বিদেশের কিছু জায়গাতেও জমায়েত হয়েছিল মহিলাদের। উদ্যোগের নাম ছিল 'মহিলাদের রাত দখল'। যদিও কলকাতার নানা প্রান্তেই মিছিলে, স্লোগানে মহিলাদের পাশাপাশি প্রতিবাদে শামিল ছিলেন পুরুষরাও।
দেশে-বিদেশে মিলিয়ে প্রায় ২০০ টিরও বেশি জমায়েত হল স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে। অধিকাংশ মিছিলই হয়েছে রাজনৈতিক রং ছাড়া। স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের ভিড় ছিল দেখার মতো। যাদবপুর, অ্যাকাডেমি, কলেজস্ট্রিট, গড়িয়া, বারাসাত, মধ্যমগ্রাম, কোন্নগর, জলপাইগুড়ি সর্বত্র উঠেছিল প্রতিবাদের ঢেউ। ১৯৪৭-এর পর গোটা দেশ হয়তো একসঙ্গে জেগে থাকেনি স্বাধীনতা দিবসের রাতে।
মিছিলের কারো মুখে প্রতিবাদী স্লোগান, কারো গলায় অভিমান, রাগ, ক্ষোভ। কারোর হাতে মোমবাতি, কারোর আবার তেরঙ্গা। অধিকার বুঝে নেওয়ার গান গাইলেন কেউ, কেউ ফুঁ দিলেন শাখে, স্লোগানের বিরতিতে কানে এল উলুধ্বনিও। আট থকে আশিই ছিলেন মিছিলে। কারোর কোলে ঘুমিয়ে পড়া কচি মুখ, হাতে তখনও ধরা নিশান। কারোর খেয়াল মশালের দিকে, নিভে গেল না তো।
বিশ্বাসে ফারাক আছে কারো কারো, রাগের ভাষাতেও ফারাক। অভিমানের ধরণ আলাদা। ১৫ অগাস্টের রাত মিলিয়ে দিল হাওড়া থেকে হেলিসিঙ্কি। যাদবপুরের মিছিলে পথ হাঁটা মানুষের ঘাম মুছিয়ে দিল জলপাইগুড়ির কোনও হাত। কারোর হাত জোর হল, কারোর মুঠি আরও শক্ত হল। শুধু এ ওকে জানিয়ে দিয়ে গেল , পাশে আছি, বেঁধে বেঁধে আছি'।