সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল রাজ্য। মঙ্গলবার নিজেই একথা জানিয়েছেন বাইরন। সামশেরগঞ্জে বিধায়কের বাড়িতে বাড়ানো হয়েছ নিরাপত্তা। বরাদ্দ করা আট জন সশস্ত্র কনস্টেবল, দু জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর। আর বিধায়কের দেহরক্ষী হিসেবে থাকছেন তিন জন কনস্টেবল, এক জন সাব ইন্সপেক্টর এবং এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর। বাইরনের তৃণমূল যোগের পরেই প্রশ্ন উঠছে নৌশাদকে নিয়েও। আইএসএফ বিধায়ক জানিয়েছেন, দল পরিবর্তনের কোনও প্রশ্নই নেই।
জানা গিয়েছে, সোমবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাইরন। তাঁর আশঙ্কা ছিল মুর্শিদাবাদ ফিরলেই তাঁর উপর হামলা হতে পারে। এমনকী হামলা হতে পারে তাঁর পরিবারের উপরেও। উল্লেখ্য সাগরদিঘি থেকে জয়ী হওয়ার পরেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিধায়ক। এমনকী কলকাতা হাই কোর্টে এই ব্যাপারে একটি মামলাও করেছিলেন। ওই মামলায় রায়ে পুলিশকে বাইরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে বাইরনের দলবদলের প্রভাব দিল্লিতেও। সোমবার এই ঘটনার পরেই টুইট করে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।