বুধবার মলয়ের পাঁচটি বাড়িতে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। পাশাপাশি, মন্ত্রীর ডালহৌসির সরকারি আবাসনেও যান ১০-১২ জন সিবিআই গোয়েন্দা। সব মিলিয়ে ছ’জায়গায় যান কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।
কাজের সূত্রে বেশির ভাগ সময়েই কলকাতায় থাকেন মলয়। তবে সপ্তাহান্তে ছুটির দিন বাড়ি গেলে ওঠেন আপকার গার্ডেনের বাড়িটিতে। হালকা হলুদ রঙের এই বাড়িটি মলয় কেনেন ১৯৯৬ সালে। সস্ত্রীক এখানেই থাকেন তিনি। দোতলা বাড়ির সামনে রয়েছে একটি অফিস ঘর। আসানসোলে থাকলে দলের নেতাকর্মী কিংবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এখানেই দেখাসাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী। সোমবার সকালে আসানসোলে মলয়ের আপকার গার্ডেনের বাড়িতে যায় সিবিআই। পাশপাশি দু’টি বাড়িতে হানার পর চেলিডাঙায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতেও যায় সিবিআই।
আরও পড়ুন-
আপকার রোডের সেই বাড়ির ঢিলছোড়া দূরত্বে সবুজ রঙের একটি দোতলা বাড়ি। স্থানীয়দের বেশির ভাগই জানতেন না যে, এই বাড়িটিও মন্ত্রীর। প্রায় তিন কাঠা জমির উপর তৈরি এই বাড়িটি সম্ভবত ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিধানসভা ভোটের সময় যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ এসে এই বাড়িতেই থাকতেন।
আসানসোলের পাশাপাশি কলকাতায় মলয়ের একাধিক বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। ৫৮/১৮ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়ির খানিকটা অংশ নতুন করে তৈরি হচ্ছে। সাদা রঙের ছিমছাম তিন তলা বাড়িটিও মন্ত্রীর বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। লেক কালীবাড়ির কাছে প্রায় পৌনে দু’কাঠা জায়গার উপর তৈরি এই বাড়ি।
৩৮৭, লেক গার্ডেন্সের বাড়ির সামনে ইংরেজিতে লেখা ‘ঘটকস্’। পাশেই লেখা রয়েছে ‘অভীক ঘটক, আইনজীবী’। মন্ত্রীর ছেলের নাম অভীক। এই বাড়িতেও প্রায়শই যাতায়াত রয়েছে মলয়ের।