প্রতি বছরই সিবিএসই (CBSE) ও আইসিএসই (ICSE) বোর্ডের কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে একাদশে বোর্ড বদলাতে দেখা যায় । অর্থাৎ অনেকেই রাজ্যের সরকারি বা সরকার-পোষিত স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি (Class Eleven admission) হয় । কিন্তু, এবছর সেই সুযোগ পড়ুয়ারা পাবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । আসলে, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর সরকারি স্কুলগুলিতে একাদশে ভর্তির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে । অন্যদিকে, আইসিএসই এবং সিবিএসই পরীক্ষার দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল এখনও বেরোয়নি । সেক্ষেত্রে, ভর্তি নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে । তবে রাজ্যের কয়েকটি সরকার ও সরকার পোষিত (West Bengal Government Schoo) স্কুলগুলি জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন আলাদা করে রাখবেন তাঁরা ।
শিয়ালদহ টাকি বয়েজ়, মিত্র ইন্সটিটিউশন, হিন্দু স্কুল-সহ আরও অনেক স্কুল একাদশে আইসিএসই ও সিবিএসই-র পড়ুয়াদের জন্য এই ব্যবস্থা নেবে । হিন্দু স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, বেসরকারি স্কুল থেকে কোনও পড়ুয়া যদি সরকারি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চায়, তাহলে সরকারি স্কুলে ভর্তির শেষ দিনে সে কথা জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে হবে । সেই চিঠির ভিত্তিতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষা দফতরকে সে কথা জানাবেন ।
একাদশে সরকারি স্কুলগুলিতে বেসরকারি স্কুলের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করার প্রবণতা বেশি কেন ? কয়েকজন শিক্ষক জানাচ্ছেন, সরকারি স্কুলে ভর্তির খরচ অনেক কম । বেসরকারি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির খরচ লক্ষ টাকার কাছাকাছি । ফি-র এই পার্থক্যের জন্যই অনেকে বেসরকারি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে আসে বলে মনে করছেন অনেকে । এছাড়া, এখন বেশিরভাগ অভিভাবকরাই চান, তাঁদের ছেলে-মেয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়র হোক । সেক্ষেত্রে, বেসরকারি স্কুলে পড়াতে যে অতিরিক্ত টাকা খরচ হত, সেটা ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল পড়ানোর প্রশিক্ষণ দিতে খরচ করেন । তাই,কম টাকা খরচের জন্য, একাদশে সরকারি স্কুলেই নিজের ছেলে বা মেয়েকে ভর্তি করান ।
আবার করোনার জন্য অনেকেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ । সেক্ষেত্রে, বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর খরচ টানতে পারছেন না অনেক অভিভাবকই । তাই একাদশে সরকারি স্কুলগুলিতে ভর্তি হওয়ার চাহিদা বেড়েচে ।