একজনের বয়স ১৯ । আর একজন চল্লিশ ছুঁইছুঁই । সম্পর্কে মা-মেয়ে আবার সহপাঠীও । ঠিকই শুনেছেন । শেখার যে আসলে কোনও বয়স হয় না, সেটাই প্রমাণ করে চলেছেন পুরুলিয়ার দুলু মহান্তি । ৩০-এর কোঠায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পর তারপর কলেজ...এখন নিজের মেয়ের (Purulia Mother-Daughter) সঙ্গে স্নাতকস্তরের পরীক্ষা দিলেন তিনি । পুরুলিয়ার (Purulia News) পতিডি গ্রামের ঘটনা ।
নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় পতিডি গ্রামের বাসিন্দা দয়াময় পতির সঙ্গে বিয়ে হয় দুলুর । বিয়ের পর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় । তবে, বিয়ের ১৬-১৭ বছর পর ফের পড়াশোনা শুরু করেছেন দুলু । পাশে পেয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে । জানা গিয়েছে ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক দেন তিনি । এখন মেয়ের সঙ্গে কলেজে পড়াশোনা করছেন । এক কলেজে না পড়লেও, বাড়িতে দু'জনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেন, পরীক্ষার প্রস্তুতিও একসঙ্গেই নিয়েছেন ।
আরও পড়ুন, Mamata banerjee: বারাণসীর ধাঁচে কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি, বাজে কদমতলা ঘাটে উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মেয়ে ইন্দ্রাণী জানাচ্ছে, মা তাঁর বন্ধুর মতো । রান্না থেকে পড়াশোনা সব একসঙ্গে করে করেন তাঁরা । মায়ের সঙ্গে এক কলেজে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি । কারণ তাঁর শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ছিল । তাই দুলু এখন পুরুলিয়ার বলরামপুর কলেজের ছাত্রী আর মেয়ে ইন্দ্রাণী বরাবাজার কলেজে পড়াশোনা করছেন । দুলু জানাচ্ছেন, বাড়ির সবাই তাঁকে খুব সাহায্য করেছে বলে তিনি আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন ।