সুশান্তের (Susanta Chowdhury) দাবি ছিল, তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুতপার । ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এবার সুশান্তকে মালদহে নিয়ে আসল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Murder Update) বহরমপুর থানার পুলিশ । বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে আসা হয় । সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ জেরা করা হয় তাঁকে ।
জানা গিয়েছে, জেরায় বিয়ে ছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুশান্তকে । সূত্রের খবর, সুতপাকে (Sutapa Chowdhury Murder) খুন করতে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র কোথা থেকে কিনেছিল সুশান্ত, তা-ও জানতে চেয়েছেন তাঁরা । সুশান্ত জানিয়েছে, ইংরেজবাজারের নেতাজিনগরের কমার্শিয়াল মার্কেটের একটি দোকান থেকেই সে ধারালো অস্ত্রটি কিনেছে । এদিন রাতেই, সেখানে যান তদন্তকারীরা । একটি দোকান চিহ্নিতও করেন । কিন্তু, সেইসময় দোকানটি বন্ধ ছিল । দোকানের মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছ ।
সুশান্তের বাড়ি খনি বাথানি গ্রামে । ইংরেজবাজারে পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে । পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্তের গ্রামে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তদন্তকারীরা । সুশান্ত জানিয়েছিল, সুতপার সঙ্গে তাঁর একটি মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল । সুশান্ত আদৌ সত্যি কথা বলছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে চাইছে পুলিশ ।
কয়েকদিন আগেই সুশান্তের একই ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় । নেটমাধ্যমে ভাইরাল এই ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় সুশান্তকে । সেইসঙ্গে রয়েছে ভালবাসার মানুষের উদ্দেশে তাঁর আবেগতাড়িত বার্তা । সুশান্তর পরিবারের দাবি, ওই মহিলা সুতপা ছাড়া আর কেউ নয় ।
২ মে সন্ধ্যায় বহরমপুরের(Berhampore Muder) গোরাবাজারে রাস্তার উপর নৃশংসভাবে সুতপাকে খুন করে সুশান্ত । যদিও তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ(Police)। সুতপার সঙ্গে সম্প্রতি এক তরুণের ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারে সুশান্ত । তথ্য বলছে, জঙ্গিপুর কলেজের ছাত্র ওই তরুণের সঙ্গেই খুনের দিন সিনেমা দেখতে যান সুতপা(Sutapa Chowdhury Murder)। সুশান্ত সে কথা জানতে পেরেই চরম সিদ্ধান্ত নেয় । এমনটাই সে জানায় পুলিশকে ।