প্রথমে গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে টাককড়ি সব লুঠ। কিন্তু ঘর থেকে বেরোনোর আগেই প্রাণে মায়া। গৃহকর্তার মুখ দেখে তাঁর হাতে বাজার করার টাকা দিয়ে গেল চোর। পা ছুঁয়ে করল প্রণামও। চোরের কাণ্ড দেখে কী বলবেন, বুঝেই পেলেন না গৃহকর্তা।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়। ফারাক্কা ব্যারেজ আবাসনে চুরি করতে আসে ২ জন। আবাসনেরই বাসিন্দা হরিশচন্দ্র রায়ের বাড়িতে হানা দেয় তারা। স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক তিনি। গলায় ধারাল অস্ত্র ধরে ঘর থেকে সব টাকাপয়সা লুঠ করে তারা। কিন্তু যাওয়ার আগে হরিশচন্দ্রবাবুর মুখ দেখে দয়া হয়। তাঁর হাতে বাজার করার টাকা দিয়ে প্রণাম করে চম্পট দেয় চোর।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে 'ঘরের মেয়ে' মমতা, ফুচকা বানিয়ে খাওয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘরে বসেছিলেন হরিশচন্দ্র। ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় বাড়ির দরজা খোলাই ছিল। সেই সুযোগে হাঁসুয়া ও ভোজালি নিয়ে দুই চোর ভিতরে আসে। গলায় ভোজালি ঠেকায় আর টাকাপয়সা দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আলমারি থেকে ১৫ হাজার টাকা বের করে দিয়ে দেন গৃহকর্তা। দুটি মোবাইল ফোনও তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় সংসার চালানোর জন্য কিছু টাকা রেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। সেই অনুরোধ ফেরাতে পারেনি চোররাও। করুণ মুখ দেখে তাঁকে ২০০ টাকা দিয়ে যায় 'সহৃদয়' চোর।
পরে ফোন করে পুলিশকে জানাতেই, ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় থানার আধিকারিকরা। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহকর্তা হরিশচন্দ্র। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।