আসছে আলোর উৎসব। ভালোর উৎসব। সারা দেশ তৈরি দীপাবলির উদযাপনের জন্য। গোটা বাংলার একেক জায়গায় নানা রূপে কালী পূজিত হন। নদিয়ার মাজদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা কৃষ্ণগঞ্জের ডাকাত কালীর পুজো বেশ বিখ্যাত।
প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো এই কালী পুজো। কথিত রয়েছে এক দল ডাকাত এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখানে মা পূজিত হতেন রক্ষাকালী রূপে, শাক্ত মতে পূজিত হন। সেই কারণে বলি প্রথার চল এখনও রয়েছে এই পুজোয়। দূরদুরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়।
Kajol: কলকাতায় লম্বা শুটিং, বাংলা ছবিতে কাজল?
প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে আজও একাধিক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। জানা যায় স্বাধীনতার আগে গ্রামবাসীরা অভাব অনটনেই দিন কাটাতো। পেটের দায়ে ডাকাতি করতে হয় কয়েকজন যুবককে। তখন বাংলায় ইংরেজদের শাসন অব্যাহত। লাঠি খেলায় পারদর্শী একদল যুবক লন্ঠনের আলো দেখিয়ে লুঠ করেছিল গোটা ট্রেন।
পরে ডাকাতরা সেই সমস্ত লুট করা খাদ্য সামগ্রী গ্রামের মানুষদেরকে বিলিয়ে দেন। সেই ডাকাত দলে থাকা কৃত্তিবাস মৈত্র, ভরত সর্দার, দুলাল প্রামাণিক, হেমন্ত বিশ্বাস, গিরীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ একাধিক যুবক আশ্রয় নেয় জঙ্গলে। তখন থেকেই চলে আসছে ডাকাতকালীর পুজো। তবে আজও সম্মান পান তখনকার ‘ডাকাত দল’