গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জে (Ballygung) তৃণমূল কংগ্রেসের (Tmc) টিকিটে উপনির্বাচন (By-election) জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তার পর দু সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও বিধায়ক (Mla) পদে শপথ (Oath) নেওয়া হয়নি বাবুলের। কবে নেবেন, তা-ও বেশ নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। এরমধ্যেই টেন্ডার দুর্নীতিতে (Tender corruption) জড়িয়ে গেল প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের (Ex-aid) নাম। সুশান্ত মল্লিক নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সোমবারই অভিযোগ করেছে সিবিআই (Cbi)। তাতে বাবুলের প্রতিক্রিয়া, 'জানতাম এটা করা হবে'।
বাবুলকে শপথে নিতে দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সরাসরি না বললেও ঠারেঠোরে এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যপালের রচিত জটিলতায় আটকে দেওয়া হচ্ছে বাবুলের শপথ। শাসকের দলের অভিযোগ, বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসায় বাবুলকে অপছন্দ রাজ্যপালের। কিন্তু রাজভবনের দাবি, বিধায়ক পদে শপথের জন্য় নিয়ম মেনেই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর হাতে কিছু নেই, সবটাই রাজ্যপালের কোর্টে। এমনকী এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে পরিষদীয় দফতর।
স্পিকার নন, বাবুলকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নির্দেশ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। টুইট করে এই নির্দেশকে স্বাগত জানালেও, স্পিকারের থেকে শপথ নিতে পারবেন না, তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন বাবুল। রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছিলেন বালিগঞ্জ থেকে বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু পাল্টা টুইটে বাবুলের অনুরোধ পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বরং সাফ জানিয়েছিলেন, সাংবিধানিক সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ তিনি বরদাস্ত করবেন না। সেই থেকে জটিলতা আজও চলছে। এরমধ্যেই সিবিআইয়ের খাতায় উঠে গেল বাবুলের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের নাম। সবমিলিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী খুব সুখকর হল না তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়র।