মা সরস্বতীর নামে ক্লাবের নাম। কিন্তু সেখানে পূজিত হন নারদ। উৎসবের মরশুমে এটাই বাংলার ছবি। আর এই পুজোতে এলাকার বেকার যুবকদের একটাই আর্তি। আর তা হল চাকরি। তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস নারদের পুজো করলেই মিলবে চাকরি। কারণ, নারদ হলে এমন একজন চরিত্র, যাঁর সঙ্গে স্বর্গের সব দেব-দেবীর যোগাযোগ রয়েছে। তাই নারদকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই, চাকরি হাতের মুঠোয়। এই ধারনা নিয়েই এখন মেতে বাঁকুড়ার রতনপুর গ্রাম।
মজার ব্য়াপার হল, এই পুজোর শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। কাকতালীয় ভাবে ওই বছর টেটে দুর্নীতি নিয়েই এখন মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আট বছর পর যা নিয়ে উত্তাল এখন রাজ্য রাজনীতিও। রোজই এই প্রসঙ্গে কোনও না কোনও নির্দেশ দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্থানীয়দের দাবি, আট বছর আগে যখন এই পুজো শুরু হয়েছিল, তখনও সামনে রাখা হয়েছিল চাকরি ইস্যুকে। কারণ, বেকার দূরীকরণে বাঁকুড়ার দু নম্বর ব্লকের রতনপুরের বাসিন্দাদের বিশ্বাস নারদ-ই একমাত্র যিনি এই ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত।
তাই খিচুড়ি ভোগ আর মেলার আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জমজমাট রতনপুরের নারদ পুজো। দুর্গা, কালী জলে চলে গিয়েছেন। চন্দননগরকে বাদ বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাকি জেলাতেও হবে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। কিন্তু রতনপুরের কাছে নারদ পুজোই সেরা উৎসব। কারণ, নারদই একমাত্র, যিনি বেকার যুবকদের কাছের এবং কাজের মানুষ।