বৃহস্পতিবার হাঁসখালি (Hanskhali) যাচ্ছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (National Child Security Commission) প্রতিনিধি রূপালি বন্দ্যোপাধ্যায় সিংহ । সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন । জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছেছেন কমিশনের সদস্য সম্পাদক রূপালি বন্দ্যোপাধ্যায় সিংহ ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা । নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের ভূমিকায় যথেষ্ট সন্তুষ্ট । এফআইআর হওয়ার আগেই পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । জেরা করছে অনেকজনকে । এটা একটা পকসো কেস । তার শাস্তিগুলো যাতে দেওয়া হয় সেটাই আমরা দেখব ।
এদিকে, বগটুইয়ের পর হাঁসখালিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম(Fact Finding Team) পাঠাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব(BJP)। বিজেপির পাঁচ মহিলা নেতৃত্বকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই দল । সেখানে রয়েছেন যোগী সরকারের(Yogi Adityanath) ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, সাংসদ রেখা বর্মা, অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর, মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, এবং তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন । জানা গেছে, হাঁসখালিতে(Hanskhali Rape Case) এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ।
৫ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের(Rape)অভিযোগ ওঠে তৃণমূল(TMC) পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে । তীব্র যন্ত্রণা এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে পরদিন ভোরবেলায় ওই নাবালিকার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ । এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ জোর করে শ্মশানে(Burning Ghat) দাহ করে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ । শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায়, সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ ।
এদিকে, এই ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা ।- তাঁর অভিযোগ, "মেয়ে মারা যাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই দলবল নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্ত ও তাঁর দলবল । বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে ফেলার হুমকি দিয়ে মাদুরে মুড়ে মৃতদেহ ছিনিয়ে নেয় । মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার পরে গ্রামেরই দুইজন এসে তাদের শ্মশানে যেতে বলে । শ্মশানে গিয়ে দেখি, সব শেষ ।" কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ঘটনার তদন্ত করেছে সিবিআই ।