কলকাতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। রাজনৈতিক মহলের খবর, তাঁর সামনেও পূর্ণ শক্তি হাজির করাতে পারল না রাজ্য বিজেপি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৬৮ জন বিধায়ককে। সূত্রের খবর, ইএম বাইপাসের ধারের পাঁচতারায় শেষ পর্যন্ত হাজির ছিলেন বিজেপির ৬৫ বিধায়ক। তাতেও অবশ্য জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৮ তারিখ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁকে সমর্থন জানাবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪ জন সদস্যই। রাজনৈতিক মহলের মতে, একথা বলে ঘুরিয়ে কলকাতায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের থেকেও সমর্থন চাইলেন দ্রৌপদী।
শেষ বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ৭৭ আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ইতিমধ্যেই সাত বিধায়ক ও দুই সাংসদ পদ্মশিবির ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরে গিয়েছেন। ফলে রাজ্য বিধানসভায় শুভেন্দু-সুকান্তদের শক্তি এখন ৭০। তাঁদের মধ্যে এদিন ৬৮ জনকে ডাকা হয়েছিল। ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং এবং বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়িকে ডাকা হয়নি। এরমধ্যে অশোক লাহিড়ি অসুস্থ।
তাহলে এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় এলেন কারা ? রাজ্যে বিজেপির একাংশের দাবি, এদিনের সভায় ছিলেন না পাহাড়ের দুই বিধায়ক নীরজ জিম্মা এবং বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। সোমবার শিলিগুড়িতেই দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে এদিন কলকাতায় আসেননি দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্তাও। অনুপস্থিত আর এক বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীও। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, পাহাড়ে জিটিএ ভোটে অনীক থাপার দল দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে। তার উপর মঙ্গলবার পাহাড়ে আছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের দুই বিধায়কের না আসা বিশেষ ভাবে তাৎপর্যন্ত পূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এসবের মধ্যেই অবশ্য জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দ্রৌপদী। এদিন তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় কালীঘাটের মা কালীর ছবি। সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ছবি ও মা দুর্গার ছৌয়ের মুকুট।