কসবার উঠতি মডেল সরস্বতী দাসকে (Model Saraswati Das Death) ফোনে কেউ হুমকি দিত । সে কারণেই ‘আত্মহত্যার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরস্বতী । তাঁর মামার দাবিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ।
পরিবার সূত্রে খবর, মামাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন সরস্বতী (Kasba Model Death) । মেকআপের পাশাপাশি নানা ভিডিও শ্যুটের কাজও করেছেন । এ ছাড়াও প্রাইভেট টিউশনও করতেন। স্বপ্ন ছিল মডেল হওয়ার । সরস্বতীর মামা গোবিন্দ মণ্ডলের দাবি, ‘‘প্রতি দিন রাতে ভাগ্নি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলত। কয়েক দিন ওকে কাঁদতেও দেখি।’’ মামার অনুমান, ফোনে কেউ তাঁকে হুমকি দিত । সে কারণেই ‘আত্মহত্যার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরস্বতী ।
শনিবার কার্যত কেঁদেই বাড়ি ফিরেছিলেন কসবার বাসিন্দা সরস্বতী দাস । তাঁর মারা যাওয়ার পর প্রতিবেশীর বয়ানে এই তথ্যই উঠে এসেছে । ঘটনার দিন কেন কেঁদে বাড়ি ফিরেছিলেন সরস্বতী, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা । কারণ পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়, ঘটনার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল তাঁদের মেয়ে । কিন্তু, কেন ফাঁস লাগিয়ে জীবন শেষ করলেন সরস্বতী তা পরিবারের কাছেও ঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে না ।
সরস্বতীর ফেসবুক প্রোফাইলে বেশ কয়েকটি পোস্ট বেশ কয়েকটা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে । দেখা যাচ্ছে কোনও পোস্টে হৃদয়ভাঙার কথা লিখছেন, কোনও ছবির ক্যাপশনে আছে মায়ের প্রতি ভালবাসার কথা । পুলিশ সূত্রে খবর, সরস্বতীর ঘর থেকে একটি চিরকুট মিলেছে। তাতে লেখা, ‘মা, আমি তোমায় খুব ভালবাসি।’ প্রায় একই বয়ানের একটি পোস্টও রয়েছে তাঁর ফেসবুক ওয়ালে ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল । স্থানীয় সূত্রের খবর, পাশের পাড়ার এক তরুণের সঙ্গে সরস্বতীর সম্পর্ক ছিল । তাঁর সন্ধান পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি, সরস্বতীর ফোনটি আনলক করে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ । সরস্বতীর পরিচিতদের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা ।
পরিবার সূত্রে খবর, মামাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন সরস্বতী । মেকআপের পাশাপাশি নানা ভিডিও শ্যুটের কাজও করেছেন । এ ছাড়াও প্রাইভেট টিউশনও করতেন। আঁকা শেখাতেন। স্বপ্ন ছিল মডেল হওয়ার । এখন প্রশ্ন উঠছে, তাঁর মৃত্যুর পিছনে রয়েছে পেশাদারি চাপ, সম্পর্কের টানাপড়েন, নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু । তদন্ত চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা ।
শনিবার গভীর রাতে কসবায় নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় সরস্বতীকে। সে কসবার বেদিয়াডাঙা এলাকার বাসিন্দা ছিল। বাবা সঙ্গে থাকেন না । মা ও মাসির কাছে বড় হয়ে উঠেছিলেন সরস্বতী। শনিবার রাতে তাঁর মা ও মাসি আয়ার কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সরস্বতী আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের অনুমান। সরস্বতীকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান তাঁর দিদা।
পরিবার সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করেননি সরস্বতী । মেক আপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন । কখনও কখনও ফটোশুটও করতেন । তা ছাড়া তিনি অভিনয় জগতে তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন । সরস্বতীর মৃত্যুর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।