চট করে কোথাও ঘুরে আসার ইচ্ছে হলে, তিলোত্তমবাসীর অন্যতম ভরসা আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo) । হরেক কিসিমের পশুপাখিদের সঙ্গে সময় কাটানোর এমন উপায় আর কই ? হাতি, বাঘ, ভাল্লুক সব দেখতেই ভির জমে চিড়িয়াখানায়। কিন্তু আলিপুর চিড়িয়াখানায় বার্ধক্যে ঢলে পড়েছে প্রায় সব বাঘই। তাই থমকে রয়েছে বংশবিস্তার। তাই চিড়িয়াখানার শার্দূল পরিবারকে সজীব রাখতে যৌবন ফেরাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। প্রজননে সক্ষম বাঘ-বাঘিনি এনে চিড়িয়াখানার ব্যঘ্র পরিবারের অস্ত্বিত রক্ষায় সচেষ্ট আলিপুর চিড়িয়াখানা।
কেন্দ্রীয় জু অথরিটির কাছে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়ে, বাঘিনি ‘ত্রুপ্তি’কে কলকাতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। কেন্দ্রের সবুজ সংকেত মিললেই এই বাঘিনীর ঘর হবে আলিপুর। বছর দেড়েক বয়স তাঁর।
আসলে ২০১৬ সালের পর থেকেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় থমকে রয়েছে বাঘেদের বংশবিস্তার। ‘কৃষ্ণা’ আর সাদা বাঘ ‘অনির্বাণে’র জন্য চিড়িয়াখানায় বিশাল জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু সেই শেষ। সেসময় নন্দনকানন থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল চারটি বাঘ। ‘ঋষি’, ‘পায়েল’, ‘শীলা’ ও ‘স্নেহাশিস’, পরবর্তীতে যদিও এদের দুজনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দার্জিলিং -এ। স্বভাবতই কমে এসেছে বাঘেদের সংখ্যা। এর পরেও কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় অনেক বাঘ নিয়ে এসে, ঘরের বাঘ-বাঘিনীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সবই বিফলে গিয়েছে। অবশেষে নতুন উদ্যমে বাঘের পরিবার সাজাতে প্রস্তুত চিড়িয়াখানা অথরিটি।