পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের কিনারা হয়েছে বলেই দাবি করল এই ঘটনায় তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (Sit0। সিট সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আসিক খান নামের দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তপন খুনে আসিককে ৫ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল নরেন। পরিকল্পনা বাস্তব করেছিল আসিক। সবমিলিয়ে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশের দাবি, ২০ দিনের রহস্য ভেদ করা গিয়েছে।
নরেন ও আসিককে জালে তোলার আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তপন খুনের অন্য়তম চক্রী কলেবর সিংকে। তাকে দীর্ঘ জেরা করেই পুলিশ নরেন ও আসিক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পায়। শনিবার এই খুনের কিনারা করতে নেমে দিনভর জেরা করা হয় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদাকে। একইসঙ্গে ডাকা হয় নরেনের ঘনিষ্ঠ ঝালদার কুটিডি এলাকার বাসিন্দা তথা একসময় বিহারে থাকা আসিক খানকেও জেরা করা হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন জানান, দীর্ঘ জেরার পর নরেন ও আসিককে তপন কান্দু খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তপন খুনের মূলচক্রী কলেবরই। বিহারের এই বাসিন্দা মূলত সুপারি কিলার হিসাবেই কাজ করে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই দাবি করেছিল পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন তপন। নরেন ও আসিকের গ্রেফতারি তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। এই ব্যাপারে পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ”এই খুনের মোটিভ পারিবারিক কারণ। দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলায় খুন। ৩ থেকে ৪ বছর ধরে তপন কান্দুকে হত্যার চেষ্টা করেছিল নরেন কান্দু।”