মহাশূন্যের মহাজাগতিক কার্যকলাপ জানার তীব্র ইচ্ছে ছিল। ক্রমে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থির করেন মহাকাশবিজ্ঞানী হবেন। সম্প্রতি এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক আবিষ্কার করেন গ্রহাণু। নাসা তাঁকে সিটিজেন সায়েন্টিস্টের স্বীকৃতি দেয়। ভারত বিভূষণ সম্মান পেয়েছেন। এবার ডক্টরেট উপাধি-সহ বঙ্গ গৌরব সম্মান পাচ্ছেন নিমতার উজ্জ্বল অধিকারী। তাঁর এই কৃতিত্বে গর্বিত পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা।
নিমতার উত্তর প্রতাপগড়ের সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হন উজ্জবল। নিমতা হাই স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপরই এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বেঙ্গালুরু পাড়ি দেন উজ্জ্বল। একটি সংস্থায় কাজের পাশাপাশি এমবিএ-করেন। ২০১৮ সালে এমপি বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ সেন্টারে রিসার্চ স্কলার হন তিনি। একই সময় এরোস্পেস চাটার্ড ইঞ্জিনিয়ারিংও পাস করেন।
এখানেই শেষ নয় তাঁর প্রতিভা। নিমতার উজ্জ্বল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও শখের সাহিত্যিকও। ইতালির প্যানোরমা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেছেন তিনি। ডক্টর এপিজে কালাম পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় রত্ন পুরস্কারও পেয়েছেন। ইন্ডিয়া প্রাইমের বিচারে সেরা ১০০ প্রাইম ভারতীয় লেখকের তালিকায় নাম আছে তাঁর।