সময়টা ছিল গত বছরের জুন। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে উঠে এসেছিল এক মেয়ের লড়াইয়ের গাথা। যিনি সরকারি চাকরি পেয়ে, নিজের প্রেম, নিজের সংসারকে পূর্ণতা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বামীর তা সহ্য হয়নি। শাস্তি দিতে কেটে নিয়েছিল স্ত্রীর ডান হাত। তারপর....বাকিটা ইতিহাস। সেই যন্ত্রণার কথাই এবার প্রকাশ করতে চলেছেন রেণু খাতুন। নিজের আত্মকথায়। মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কৃত্রিম হাতেই কলম তুলে নিয়েছিলেন এই সরকারি নার্স। প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর যন্ত্রনার কাহিনি।
প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন এই তরুণী। হাসপাতালের বিছানায় রোজই লড়াই করেছিলেন। সেই বর্ণনা থাকছে তাঁর আত্মকথায়। জীবনের সেই কঠিন সময়কে নিজের কলমে ফুটিয়ে তুলেছেন এই সরকারি নার্স। ফুটিয়ে তুলেছেন যন্ত্রণার প্রতিটি মুহূর্তকে। রেণুর এই খারাপ সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমানে সভা করতে গিয়ে দেখা করেছিলেন রেণুর সঙ্গে। মমতার নির্দেশেই রেণুর যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া কৃত্রিম হাতের সাহায্যেই আজ সরকারি নার্স থেকে লেখক রেণু। তাঁর এই আত্মকথা প্রকাশিত হয়েছে শনিবার।