নবদ্বীপে রাঁধুনি খুনের তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল নদিয়া জেলা পুলিশ। খুনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার মূল চক্রী। ধৃতের নাম নবকুমার বলে জানা গেছে। তার বাড়ি নবদ্বীপের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে এখনও খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। কী কারণে মহিলাকে গুলি করে খুন করা হল, খুনের ষড়যন্ত্রের পিছনে আরও কেউ রয়েছে কী না, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানা।
বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রানু বৈরাগ্য। তখনই কে বা কারা এসে তাঁকে গুলি করে। নবদ্বীপ বাসস্টান্ডের সামনে একটি কারখানার পাশে নর্দমার সামনে থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এরপর নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়।
আরও পড়ুন- Hanskhali Rape Case: হাঁসখালি কাণ্ডে ফাঁস বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ, কিশোরীকে ধর্ষণ করে দীপঙ্কর পোদ্দার
যদিও পরিবারের দাবি, মৃতার সঙ্গে কারও ঝামেলা ছিল না। মৃতার ছেলে রমেন বৈরাগ্য বলেন, ‘‘আমার মা প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যেতেন। সেখান থেকেই ফেরার পথে ফুল তুলে ফিরে আসতেন। সকালে আমাকে জানানো হয়, কেউ মা কে কানের পাশে গুলি করেছে। আমার মা আগে বাড়ি থেকেই কাপড়ের কাজ করতেন। মাসখানেক হল একটা জায়গায় রান্নার কাজ করতে ঢুকেছিলেন। কারও সঙ্গে আমাদের শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল আমার মাথায় কিছু আসছে না। দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’