রুদ্রনীল ঘোষের স্বরচিত কবিতা। অগ্নিমিত্রা পল, সজল ঘোষদের ভাষণ। বিজেপিতে যোগের পর ডায়মন্ড হারবারে প্রথম সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা, ডিসেম্বরে তিনি ফের লাড্ডু বিলি করতে আসবেন। কিন্তু কেন আসবেন, তা এদিনের জনসভায় স্পষ্ট করলেন না। নিজের ভাষণে আগাগোড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। অভিযোগ করলেন, বালি থেকে কয়লা, এমনকী স্কুলের ইউনিফর্ম, এখানকার সাংসদ সর্বভূক। তিনি শুরুতে নয়, শেষে বিশ্বাস করেন। এটাও দাবি শুভেন্দুর। তাই কর্মীদের আইন হাতে না তোলার অনুরোধ করেছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। সবমিলিয়ে অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর জনসভাকে মিশ্র বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার ডায়মন্ড হারবারের সভা ঘিরে শুক্রবার থেকে ছিল টানটান উত্তেজনা। শনিবার একধিক টুইটে তাঁর জনসভা ভেস্তে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিলেন শুভেন্দু। সেই অভিযোগ অবশ্য় উড়িয়ে দেয় রাজ্যের শাসকদল। এরপর বেলায় হটুগঞ্জে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন শুভেন্দু। দাবি করে, প্রতি গাড়ির কাঁচের খরচ তিনি আদায় করে ছাড়বেন। এদিন হটুগঞ্জের ঘটনার পর বিজেপি কর্মীদের শুভেন্দুর বার্তা, এরপর থেকে ছোট গাড়ি নয়, দরকারে ট্রেন ভাড়া করতে আসবেন।
কাঁথিতে অভিষেকের দাবি, তাঁর নামে ভয় পাচ্ছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেকের গড়ে দাঁড়িয়ে ঠিক উল্টো অভিযোগ শুভেন্দুর। বিজেপি নেতার দাবি, তাঁর নাম শুনলেই এখন আতঙ্কে কাঁপছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।