বিজ্ঞান যতই উন্নতি করুক, যতই মডার্ন হোক পৃথিবী, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও সমাজ আজও কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমজ্জিত । সম্প্রতি, তারই প্রমাণ মিলল এই বাংলায় । ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি । সেখানে এক সাধুবাবার কথায়, সন্তানের দুষ্টুমি কমাতে তাকে অন্ধকার দামোদরের চরে ফেলে দিয়ে এলেন বাবা-মা । রাতভর মা-বাবাকে খুঁজেছে, কান্নাকাটি করেছে শিশুটি । কিন্তু, দেখা পায়নি কারও । পরে শিশুটিকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা । ইতিমধ্যেই শিশুটির বাবা, মা ও দাদুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের রায়না থানা এলাকার সুদর্শনপুরে রয়েছে সাধুবাবার আশ্রম । সেখানে প্রায়ই যেতেন ওই শিশুর বাবা-মা । তাঁদের দাবি, সাধুবাবা বেশ কয়েকবার তাঁদের সন্তানকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছে । তাই, তাঁর প্রতি অগাধ বিশ্বাস তাঁদের । সম্প্রতি, সন্তানর চঞ্চলতা কমাতে সাধুবাবার দ্বারস্থ হন তাঁরা । সেইসময় ওই সাধু, শিশুটিকে রায়না থানার শিয়ালিবাজার এলাকায় নির্জন নদীর ধারে রেখে আসার পরামর্শ দেন তাঁদের । সেইমতোই কাজ করেন শিশুটির বাবা-মা ।
এদিকে, রাতের বেলায় শিশুর কান্না-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয়রা । শিশুটিকে উদ্ধার করেন তাঁরাই । পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । আপাতত, হুগলির একটি হোমে পাঠানো হয়েছে শিশুটিকে । বুধবার রাতে রায়না থানা এলাকার সুদর্শনপুরে সাধুবাবার আশ্রম থেকে ওই শিশুর বাবা এবং মাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন সকালে দাদুকে আশ্রমলাগোয়া এলাকা থেকেই ধরে পুলিশ । বাবাকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান সিজেএম আদালত । দাদুর বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে। আর মাকে শনিবার আদালতে তোলা হবে বলে খবর ।