রবিবার আদালতের নির্দেশের কিছু অংশ মুছে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পার্থর আইনজীবী। যার শুনানি শুরু হয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চেই। রবিবার এই বিচারপতিই ‘অসুস্থ’ পার্থকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘প্রতিটি প্রভাবশালীর নিরাপদ জায়গা এসএসকেএম। বর্ষীয়ান মন্ত্রী, যাঁর প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তাঁর পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যেতেও পারেন।’’
রবিবার আদালত ওই পর্যবেক্ষণের পর পার্থকে এসএসকেএমের বদলে ভুবনেশ্বরের এমসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পার্থ আদালতের কাছে রবিবারের ওই নির্দেশ এবং পর্যবেক্ষণের তিনটি অংশ সংশোধনের মাধ্যমে মুছে ফেলার আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee:তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ করলেই নেতাদের আশ্রয়স্থল এসএসকেএম, ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট
কোন তিনটি অংশ নিয়ে আপত্তি পার্থের? আদালত রবিবার তার নির্দেশে জানিয়েছিল, পার্থ যদি এসএসকেএমে ভর্তি হয়ে অসুস্থতার ওজর তুলে জিজ্ঞাসাবাদ এড়ান তবে হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের অশ্রুধারায় অভিশপ্ত হবে বিচারব্যবস্থা। যাঁদের ভবিষ্যৎ টাকার লোভে বলি প্রদত্ত হয়েছে।
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করে ইডি (ED)। ইডির দাবি মেনে রবিবার সেই মামলার শুনানিতে পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। এই নির্দেশ দেওয়ার সময় রাজ্যের প্রথম সারির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এর কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরি।