রাজ্য়ের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের বইয়ের পাতায় বহাল থাকছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে বসেই একথা জানিয়ে দিলেন রাজ্য়ের স্কুল সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, ওই বইতে যে বাক্য রয়েছে তাতে কোনও ভুল নেই। ২০১৬ সালে লেখা হয়েছিল। সেই সময়ের প্রেক্ষিতে সেটা সত্য ছিল। আরও ঐতিহাসিক ভাবে সেটা সত্যি। এর আগে অবশ্য এই ব্যাপারে তিনি বল ঠেলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কোর্টেই। রাজনৈতিক মহলের দাবি, পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বই থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম মুছে দেওয়ার দাবি তুলেছিল তৃণমূলের একাংশ। কারণ, সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের ইতিহাসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পরেই আছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী থাকার সময় যা কার্যত জোর করেই করেছিলেন পার্থ।
এদিন অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ম্য়ান্ডেলা দম্পতির উদাহরণও টেনেছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান। অভীক মজুমদার জানিয়েছেন, উইনি ম্যান্ডেলার নাম দুর্নীতিতে জড়ানোর পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা, কিন্তু বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে তাঁর অবদান আজও স্বীকৃত। একইভাবে সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন, তা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। তাই এই বাক্য সরানোর প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন : 7 new districts in Bengal: বাংলায় ৭ টি নতুন জেলার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
'অতীত ও ঐতিহ্য' - রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুলে ক্লাস এইটে ইতিহাস বই হিসাবে এটাই পড়ানো হয়। যেখানে উল্লেখ আছে সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা। জমি আন্দোলনের ইতিহাসে তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লড়াইয়ের কথাই ওই বইতে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে সেখানেই লেখা আছে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নামও।
স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থর গ্রেফতারির পরেই রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূলের অন্দর থেকে দাবি ওঠে অবিলম্বে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যবই 'অতীত ও ঐতিহ্য' থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নাম মুছে দেওয়ার। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী থাকার সময় কার্যত জোর করেই নিজের নাম তৃণমূল নেত্রীর পরে নিজের নাম রেখেছিলেন পার্থ। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূলের অন্দরে এখন কান পাতলেই পার্থর বিরুদ্ধে বিষোদগার শোনা যাচ্ছে। তেমন ভাবেই পার্থর নাম বইয়ের পাতা থেকে সরানোর দাবি জোরাল ভাবেই শোনা যাচ্ছে।