পাঁশকুড়া বোমা বিস্ফোরণে মৃত কিশোর বিস্ফোরণের পরেও বেঁচে ছিল। তাঁকে ওই অবস্থাতেই পুকুরে ফেলে দেয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক শ্রীকান্ত ভক্ত। বিস্ফোরণের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে এমনটাই অভিযোগ করলেন মৃত কিশোর শম্ভু সামন্তের মা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেন তিনি।
ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর ছেলে ঘরে শুয়ে ছিল। তাকে বস্তা ধরার জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণের পরেও তাঁর ছেলে বেঁচে ছিল বলে দাবি। তাঁর ছেলেকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। অভিযুক্ত শ্রীকান্তের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের মা।
পাঁশকুড়ার সাধুয়াপোতা গ্রামের শ্রীকান্ত ভক্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই বাজি তৈরি হয়। দীপাবলি উপলক্ষে বাইরে থেকেও বাজি এনে মজুদ করে রাখা হয়েছিল ওই বাড়িতে। মঙ্গলবার বাড়ির ৫ সদস্য ছাড়াও প্রতিবেশী ওই কিশোর তাঁর বাড়িতে ছিল।
সকালে বাজি তৈরির সময় আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আহত হয়েছেন শ্রীকান্ত ভক্তের স্ত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ বাড়ির মালিক শ্রীকান্ত। ঘটনার পর এখনও আতঙ্কে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার পূর্ব চিলকা গ্রামের সকলে।