ষষ্ঠীর সকালের রাজ্যের দুই জেলা থেকে চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। এই অভিযোগে রাজ্যের দুই সরকারি হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা করার অভিযোগ। দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা সুজিত সর্দার। বসিরহাট থানা অঞ্চলের এই যুবকের পঞ্চমীর রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা ওঠে। পরিবারের লোকেরা তাঁকে বসিরহাটের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। অভিযোগ, ওই সময় হাসপাতালে কোনও ডাক্তারই ছিল না। তাই, ওই যুবকে ফের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফেরার পর সুজিতের অবস্থার অবনতি নয়।
ফের তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বসিরহাটের সরকারি হাসপাতালে। সেইসময় হাসপাতালে থাকা ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সুজিতের মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল। প্রতিবাদে বুধবার সকালে হাসপাতালেই বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বসিরহাট থানার পুলিশকে।
চিকিৎসায় গাফিলতির আর এক অভিযোগ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে। শিল্পা খাতুন নামের এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে। পরিবার জানিয়েছে, পঞ্চমীর দিন প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শিল্পাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অভিযোগ, সিজারের পরেই শিল্পার রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
শিল্পার স্বামীর অভিযোগ, ফের ওই জায়গায় সেলাই করতে গেলে তাঁর স্ত্রী মৃত্যু হয়। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই তাঁদের মেয়ের মৃত্যু বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। যদিও এই ব্যাপারে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দেহ আটকে হাসপাতালের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখায় মৃতার পরিবার। দোষী চিকিৎসকদের শাস্তিও দাবি করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসতে হয় পুলিশ। মৃতার পরিবারকে বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।