পুজোর চারদিনের মধ্যে অষ্টমীর জন্য একটু বিশেষ প্রস্তুতি থাকে বাঙালির। এদিন পাট ভাঙা নতুন শাড়ি, আর পাঞ্জাবিতে সেজে মণ্ডপে মণ্ডপে চলে অঞ্জলি দেওয়ার ধুম। তারপর অষ্টমীর মহাভোগ। দেখতে পুজো শুরু হয়ে যেন শেষ ও হতে চলল। তাই অষ্টমীতে জমিয়ে আনন্দ করে নিতে ছাড়ে না কেউ-ই। গত দু'বছর করোনার দাপটে পুজো প্রায় হয়নি বললেই চলে। তাই এই বছর কোনও ছাড় নেই। মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঠাকুর দেখার পালা।
অষ্টমীর সকালে স্নান করে নতুন পোশাকে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দিতে ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে, মণ্ডপে মানুষের ভিড়। ব্যারাকপুর তালপুকুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোতেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র৷ হরিদেবপুর বিবেকানন্দ অ্যাথলেটিক ক্লাব, হরিদেবপুর ৪১ পল্লীর পুজো মণ্ডপেও হাতে ফুল নিয়ে, মন্ত্রচ্চারণ করে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে।
অষ্টমীর আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পুজো এবং সন্ধি পুজো। এদিন বিকেলে অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট । মোট ৪৮ মিনিট ধরে সন্ধি পুজো করা হয়। অষ্টমীর শেষ এবং নবমীর মধ্য সময়ে এই পুজো করা হয় বলেই এর নাম সন্ধি পুজো। সন্ধি পুজোয় ১০৮ টি পদ্ম, ও ১০৮ টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর আরাধনা সারা হয়।