রাজ্যে নাইরোবি ফ্লাই-এর সংস্পর্শে এসে অনেকেই গত কয়েক দিনে অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থর সংখ্যা উত্তরবঙ্গে বেশি। সিকিমেও অসুস্থ হয়েছেন শতাধিক ছাত্র। উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত এই পতঙ্গের হামলার ঘটনা বেশি ঘটলেও কলকাতাতেও ইতিমধ্যেই এর উপদ্রব শুরু হয়েছে। কলকাতায় অনেকেই ইতিমধ্যে এই পতঙ্গের সংস্পর্শে এসে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা করাতে আসছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা এবং দার্জিলিং পাহাড়ের একাধিক এলাকায় ইতিমধ্যে এই পতঙ্গের সংস্পর্শে এসে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। সিকিম মনিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ক্যাম্পাসে সম্প্রতি নাইরোবি ফ্লাইয়ের উপদ্রব শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই পতঙ্গের সংস্পর্শে এসে তাঁদের প্রায় ১০০ পড়ুয়ার ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাঁদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পথে তাঁরা। তবে এক পড়ুয়ার অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাইরোবি ফ্লাই মূলত পূর্ব আফ্রিকায় দেখা যায়। এই পতঙ্গ কেনিয়ান ফ্লাই বা ড্রাগন ফ্লাই নামেও পরিচিত। দেখতে গুবরে পোকার মতো। এই পতঙ্গের দুটি প্রজাতি রয়েছে। একটি প্রজাতির রং কমলা, অন্যটি কালো। বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় দ্রুত এদের বংশবিস্তার ঘটে।
নাইরোবি ফ্লাই কামড়ায় না, হুলও ফোটায় না। তবে গায়ের উপর বসলে ত্বক জ্বালা করে। ত্বকে ব়্যাশ হয় এবং জায়গাটি ফুলে ওঠে। তবে সাধারণত এক-দু'সপ্তাহের মধ্যে আবার ত্বক স্বাভাবিক হয়ে যায়। পতঙ্গবিদরা জানিয়েছেন, নাইরোবি ফ্লাই যখন গায়ে বসে, তাদের শরীরে থাকা অ্যাসিডজাতীয় উপাদানের জেরে মানুষের ত্বকের ক্ষতি হয়।