কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয় করে অসাধ্য সাধন করেছেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক (Piyali Basak) । তবে একদিনে তো কিছু হয় না । এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে । অনেকদিক থেকেই বাধা এসেছে । কিন্তু, ছোট থেকেই যে এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখে এসেছেন পিয়ালি (Piyali Basaj Summits Everest) । শুধুমাত্র মনের জোড়, অদম্য ইচ্ছা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে স্বপ্নপূরণের দিকে । আর আজ পিয়ালি উচ্চতার শিখরে ।
ছোট থেকেই পাহাড়ের প্রতি একটা টান অনুভব করতেন পিয়ালি । ছোটবেলায় কিশলয় বইয়ে পড়া এভারেস্ট অভিযান তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল । ছয় বছর বয়স থেকেই মা-বাবার সঙ্গে ট্রেকিং শুরু করেন । সেই শুরু । তারপর আর তাঁকে থামানো যায়নি । ২০১৮ সালে অষ্টম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেন পিয়ালি । গত বছর ১ অক্টোবর পৃথিবীর সপ্তম উচ্চশৃঙ্গ ধৌলগিড়ি জয় করেন পিয়ালি । অক্সিজেন সাপ্লেমেন্টারি ছাড়াই দেশের মধ্যে প্রথম মহিলা হিসাবে ধৌলগিড়ি জয় করেন । এরপর লক্ষ্য ছিল এভারেস্ট জয় । এর আগে একবার এভারেস্ট (Everest) জয় অভিযানে ব্যর্থ হয়েছিলেন পিয়ালি । মাঝপথে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে । তবে, এবার আর খালি হাতে ফিরলেন না । এভারেস্ট জয় করলেন বঙ্গকন্যা । উচ্চতার শিখরে পৌঁছলেন । তাও আবার কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই ।
আরও পড়ুন, Piyali Basak summit Everest: শিখরে বঙ্গকন্য়া, অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের মাথায় পিয়ালি বসাক
এতো গেল পর্বতারোহী পিয়ালি বসাকের কথা । পিয়ালির আরও অনেক প্রতিভা আছে । তিনি চন্দননগর কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা । খুব ভাল আঁকেন । আবার মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট পিয়ালি । আইস স্কেটিংয়ে রাজ্যের প্রথম মহিলা খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিত । পিয়ালির জীবনটা সহজ নয় । তাঁর সামনে অনেক বাধা । বাড়িতে বাবা অসুস্থ । বাজার, দোকান থেকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া- সব একা হাতে সামলান তিনি । এদিকে, পাহাড়ে উঠতে গিয়ে মাথায় লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা । বারবার আর্জি জানিয়েও কোনও সরকার তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি । কিন্তু, হাল ছাড়েননি । সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন । আজ পিয়ালি বাঙালির গর্ব, ভারতের গর্ব । পিয়ালির পরিবার চাইছে, এবার অন্তত তাঁদের মেয়ের পাশে দাঁড়াক সরকার ।