মাগুরপুকুরে রক্তের দাগ শুকোয়নি এখনও। কিন্তু মগরাহাট জোড়া খুনের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা। রবিবার দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। রবিবারই আদালতে তোলা হয় ধৃতকে।
গতকাল, মগরাহাটের মাগুরপুকুরে নৃশংসভাবে খুন করা হয় দুই সিভিক ভলান্টিয়ার মলয় মাখাল এবং বরুণ চক্রবর্তীকে। জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে ইমারতি সামগ্রী কেনার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম মোল্লাকে (Jane Alam Molla) টাকা দিয়েছিলেন মলয় মাখাল। জানে আলমের কাছে মলয়ের পাওনা ছিল ৮০ হাজার টাকা। অভিযোগ, এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ইমারতি দ্রব্য মেলেনি। টাকা চাইলেও ফেরত দেয়নি জানে আলম মোল্লা। শনিবার টাকা ফেরত দেবেন বলে মলয়কে ডেকে পাঠান জানে আলম মোল্লা। মলয়ের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীও। বরুণ ও মলয় আসতেই তাঁদের নিজের কারখানায় ঢোকান জানে আলম মোল্লা। সেখানে তাঁদের খুন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হতেই কারখানার দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। দেখা যায়, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। অভিযোগ, প্রথমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে,পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে দু’জনকে খুন করা হয়। এরপরই জানে আলমের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয় জনতা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় গাড়িও। এই ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া হয়ে যায় অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা।
এরপর রাতভোর জানে আলমের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। এসডিপিওর নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশের ৬টি গাড়ি তাকে ধাওয়া করে। এলাকা ছেড়ে পালানোর সময় রবিবার সকালে কলকাতার চারু মার্কেট থানার পুলিশ জানে আলম মোল্লাকে আটকে দেয়। এরপর ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।