খনি শহর কুলটিতে(Kulti) ইসিএলের(ECL) প্রাক্তন কর্মী খুনের কিনারা করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা পুলিশ(West Burdwan District Police)। গত বুধবার কুলটির(Kulti) শীতলপুরের কাছে তুলসীহীড়ের বাসিন্দা পরেশ মারান্ডিকে গুলি করে খুন(Murder) করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের পর দুদিন কাটতে না কাটতেই এবার হত্যা রহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিশ(Police)। বৃহস্পতিবার কুলটি থানার পুলিশ মৃতের স্ত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর বিপুল সম্পত্তির দখল নিতেই সুপারি কিলার দিয়ে পরেশ মারান্ডিকে হত্যা করে তাঁর স্ত্রী মঙ্গলী মারান্ডি।
পরেশ মারান্ডি একসময় ইসিএলের(ECL) বাংলোয় মালির কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তবে তিন বছর আগে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরেশের পরিবার থাকলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। পরবর্তীতে পরেশের বাড়িতে টাকাপয়সা(Money) নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে স্ত্রী মঙ্গলী মারান্ডি তার মেয়ের বন্ধু ভিকি নুনিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেন। ভিকি এরপর তা নিয়ে সন্দীপ নুনিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে। আর তারপরই পরেশকে খুনের ছক কষা হয়।
আরও পড়ুন- Netaji Statue at India Gate: মূর্তি বসানোকে স্বাগত জানিয়েও ট্যাবলো বাতিল নিয়ে সমালোচনায় তৃণমূল
আরও জানা গেছে, পরেশকে মারার জন্য আড়াই লক্ষ টাকার সুপারি দেয় মঙ্গলী। এর জন্য ভিকি এবং সন্দীপকে আগাম কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর সন্দীপ যোগাযোগ করে বিশাল পাসওয়ান নামক এক দুষ্কৃতীর(Contract Killer) সঙ্গে। বিশালের মাধ্যমেই খুনের সুপারি যায় বিহারের(Bihar) মুঙ্গের বাসিন্দা হিমাংশু পাসওয়ানের কাছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর(Asansol-Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটের ডিসির (পশ্চিম) কথায়, হিমাংশু ট্রেনে কুলটি(Kulti) পৌঁছলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় সন্দীপ। মঙ্গলবার পরেশকে খুনের প্রথম চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মাঠে খেলাধুলো চলায় হত্যাকারীদের চেষ্টা সফল হয়নি। বুধবার সকালেই পরেশকে গুলি করে মারা(Murder) হয় ওই মাঠে। পুলিশি(Police) জেরার মুখে সমস্ত কথা স্বীকার করে নিয়েছে দুষ্কৃতী দলটি। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ভর্তি একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে।