শনিবার ভরদুপুরে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল বিটি রোডে । এবার ঘটনার তদন্তের নেমে নতুন তথ্য হাতে পেল পুলিশ । ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় উঠে এল বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার সুবোধ সিং-এর গ্যাং -এর নাম । বর্তমানে সে বেউর জেলে বন্দী । অজয় মণ্ডলকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা তোলা চেয়েছিল বলে অভিযোগ । ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁর কাছে সুবোধের হুমকি ফোন আসছে । ঘটনার তিনদিন আগেও ফোন এসেছিল, কিন্তু তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন অজয়বাবু । তারপরেই শনিবার তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ ওঠে ।
গল্পের এখানেই শেষ নয় । শনিবারের ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই ফের সুবোধ সিং-এর ফোন আসে অজয় মণ্ডলের ফোনে । সেইসময় থানাতেই ছিলেন ওই ব্যবসায়ী । ফোন তুলতেই ফোনের ওপার থেকে সেই হুমকির সুর । স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার কোনও রকমে অজয়বাবু বেঁচে গেলেও, পরের বার যেন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকেন তিনি । পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিনই ব্যারাকপুরের আরও এক প্রোমোটারকে ফোন করে অজয়বাবুর ঘটনা উল্লেখ করে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ।
উল্লেখ্য, শনিবার ডোমজুড় যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। প্রথম গাড়িতে ছিলেন অজয় মণ্ডল। এবং আরও একটি গাড়িতে ছিলেন তাঁর সঙ্গীরা। কামারহাটি পৌরসভার সামনে সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি। জানা গিয়েছে ভলভো ৮০০ মডেলের একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলেন অজয় মণ্ডল। সিগন্যাল সবুজ হলে কামারহাটি পুরসভার উল্টোদিকে থাকা ক্ষুদিরাম বসু হাসপাতালের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল। মোট ৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে দাবি। গুলির সেই চিহ্নই গাড়ির বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে,মোট ৫ টি গুলির চিহ্ন রয়েছে গাড়িতে।
গাড়ি বুলেটপ্রুফ হওয়ায় বরাতজোড়ে বেঁচে যান ওই ব্যবসায়ী । সেইসময় ড্রাইভার নিরঞ্জন সিং বুদ্ধি করে ইউটার্ন নিয়ে উল্টোদিকের লেন ধরে জগন্নাথ মন্দিরের দিকে চলে যান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া । এখন প্রশ্ন যে বারবার অজয় মণ্ডলের কাছে হুমকি ফোন এলেও,কেন তিনি পুলিশকে খবর দেননি । ঘটনায় স্থানীয় অপরাধীদেরও যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।