হাঁসখালির ঘটনায় (Hanskhali Rape Case) বিভিন্ন জনের বয়ানে রয়েছে নানা ধরনের অসঙ্গতি। তার ফলে তদন্ত করতে গিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ। গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন।
মৃতার মা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় এক জন মহিলা তাঁর অসুস্থ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি হুমকি দেন, পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হলে বা প্রতিবেশিদের কাউকে কিছু জানালে তাঁদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। বাড়ির সকলে পুড়িয়ে মারা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি। মৃতার মায়ের দাবি, এই সময়ে দুই যুবক মোটরবাইক নিয়ে বাড়ির বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তদন্তে নেমে ওই মহিলার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। খোঁজ মিলেছে দুই যুবকেরও। ওই মহিলার নাম পলি বিশ্বাস। মৃতার মায়ের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পলির দাবি, তিনি মেয়েটিকে ঠিক ভাবে চিকিৎসা করাতে বলেছিলেন। ওই মহিলার কথায়, মেয়েটি রাস্তার ধারে বসে ছিল। তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করে সে। পলির দাবি, দৃশ্যতই অসুস্থ মেয়েটিকে তারই সাইকেলের কেরিয়ারে চাপিয়ে তিনি বাড়ি পৌঁছে দেন। দুই যুবকও পলির দাবি সমর্থন করছেন।
'রেপ বলবেন নাকি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন', প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
বিতর্ক অন্য প্রসঙ্গেও। রবিবার মৃতার মা জানিয়েছিলেন, বাড়ি ফেরার পরে মেয়ের মুখে তিনি মদের গন্ধ পেয়েছিলেন। কিন্তু পলি দাবি করেছেন, মেয়েটি সাইকেলের পিছনে কেরিয়ারে বসে ছিল, তিনি তার মুখে মদের গন্ধ পাননি। পুলিশ সূত্রের দাবি, পলি ও কিশোরীর মাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
তদন্তকারীদের একাংশের সন্দেহ, মেয়েটিকে গর্ভপাতের (Abortion) ওষুধ খাওয়ানো হতে পারে। কিন্তু মায়ের দাবি, রাতে মেয়ের পেটে খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। যন্ত্রণা কমাতে গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনেছিলেন। কিন্তু ফিরে দেখেন, মেয়ে মারা গিয়েছে। অর্থাৎ, ওষুধ খাওয়ানোর সুযোগ তিনি পাননি। সমীর বিশ্বাস নামে ওই চিকিৎসককে জেরা করা হতে পারে।
অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ধৃত সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালির। তার দাবি, মাস ছয়েক যাবত তার সঙ্গে ওই নাবালিকার 'সম্পর্ক' ছিল। গত ৪ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে সে, ওই নাবালিকা এবং দুই বন্ধ মিলে বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি করে। মদ্যপানের পর কিশোরীর সম্মতিতেই সে এবং ওই কিশোরী সহবাস করে। এরপর মেয়েটি চলে যায়। তার অসুস্থতার কথা সে জানত না বলে দাবি সোহেলের।