গণনাকেন্দ্রের রাতেও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভাঙড়ে । পুলিশ-আইএসএফ-এর খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । রাত বাড়তেই শুধু বোমা-গুলির শব্দ । আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ । যার জেরে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন বলে খবর । অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও আহত হয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে । ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর । ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঠালিয়া স্কুলের ঘটনা ।
জানা গিয়েছে, জেলাপরিষদের গণনা চলাকালীন ঝামেলা শুরু । মোট ৩টি আসনের গণনা চলছিল। তার মধ্যে ২ টি আসনের ফল ঘোষণা হয়ে যায়। একটি আসনে জেতে আইএসএফ প্রার্থী । অন্যটিতে, জেতেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃতীয় আসনের কাউন্টিংয়ের সময়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত ।আইএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে ৫ হাজার ভোটে আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুন এগিয়ে গিয়েছে বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনশোরও বেশি ভোটে তিনি হেরে গিয়েছেন বলে জানানো হয় । তারপরেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও আইএসএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ । রাত বাড়তেই মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে। অভিযোগ, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে কয়েকশো কর্মী । সেইসময় গণনাকেন্দ্রে আটকে পড়েন আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে ।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । এমনকী, রবার বুলেটও ছোঁড়া হয় । কিন্তু, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল এলাকা । এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে । তাতেই চারজনের মৃত্যু হয় বলে খবর । পুলিশও বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন বলে খবর ।