সকাল থেকে দুপুর শনিবার তপ্ত রইল জঙ্গলমহল। সকালে মাওবাদীদের পোস্টারের পর দুপুরে গুলি চলল ঝাড়গ্রামে। গোটা ঘটনার পিছনে মাওবাদীদের হাত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিজেদের সক্রিয় করতে জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গা থেকে মাওবাদী বাইক ছিনতাইয়ের ছক কষেছে। সেই ঘটনায় বাধা দিতে গেলে মাওবাদীদের গুলিতে জখম হয়েছেন একজন।
আজ থেকে ১০ বছর আগে যেখানে জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ড ঘটেছিল, সেই মানিক পাড়া থেকে এদিন সকালে উদ্ধার হয় মাওবাদী পোস্টার। বেশ অপটু হাতেই এই পোস্টার লেখা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। কারণ, সেখানে বানানও ভুল আছে। তবে যা লেখা হয়েছে, তা বেশ ভাবচ্ছে প্রশাসনকে। উদ্ধার পোস্টারে লেখা আছে, 'কিষেনজি অমর রহে। এতদিন তৃণমূল খেলেছে। এবার মাওবাদীরা খেলবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে।’
এর মধ্যেই শনিবারের বারবেলায় গুলি চলেছে ঝাড়গ্রাম শহরে। তার পিছনেও মাওবাদীরা রয়েছে বলে সন্দেহ। কেন? গোয়েন্দা সূত্রে প্রশাসন জানতে পেরেছিল, মাওবাদীরা জঙ্গলমহলজুড়ে বাইক ছিনতাইয়ের ছক কষছে। এদিন একটি বাইক ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময়েই দুই দুষ্কৃতী গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। দুপুর নাগাদ সুজিত মহাপাত্র নামে এক যুবক ৬ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জনাকয়েক দুষ্কৃতী। তিনি বাইক থেকে পড়ে যান। তারপর দুষ্কৃতীরা তাঁর মোবাইল, বাইক ছিনতাই করে বলে অভিযোগ করেন। সুজিতকে উদ্ধার করে ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে। তাই সবটা মিলিয়ে অনেকে মনে করছেন, মাওবাদীরাই যুক্ত এর পিছনে।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রানীবাঁধের একাধিক তৃণমূল নেতা জেলা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। আবার ঝাড়গ্রামে সন্ধে নামার আগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শাসকদলের পার্টি অফিস। জ্ঞানেশ্বরীর মহল্লায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে পড়ল পোস্টার। সব মিলিয়ে পুরনো আতঙ্কের ছবি জায়গায় জায়গায়।