হাঁসখালির রেশ কাটার আগে ফের খবরের শিরোনামে নদিয়া। এবার এক অন্তঃস্বত্ত্বাকে অত্যাচারের অভিযোগ গয়েশপুরের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার নাম আনোয়ার হুসেন। অভিযোগ, আনোয়ারের লাথিতে এই মহিলার ভ্রূণ নষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে পুলিশ এখনও মুখ খোলেনি। এমনকী, আনোয়ারকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। গয়েশপুর পঞ্চায়েতের টেংরিডাঙ্গা গ্রামে। আনোয়ারের ফতোয়া না মানার ‘অপরাধেই’ গভীর রাতে তিনি ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের নাম ব্যবহার করে ইটভাটার মালিক আনোয়ার এলাকা জুড়ে অশান্তির আবহ তৈরি করেছেন। নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের সদস্যেরা থানায় অভিযোগ করলে ফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁদের খুনের হুমকি দেন আনোয়ার এবং তাঁর সঙ্গীরা।
গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেদিয়ায় বাড়ি আনোয়ারের। সাত বছর আগে ওই গ্রামে বিয়ে হয়ে আসেন পাশের টেংরিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মান্নান শেখের মেয়ে সুলেখা খাতুন। কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী বাইরে থাকেন। সেই কারণে সুলেখা মাঝেমধ্যেই পাশের গ্রামে তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, গ্রামীণ বিবাদের জেরে আনোয়ার ওই মহিলার উপর ফতেয়া জারি করেন, বাপের বাড়িতে না যাবার জন্য! কিন্তু সেই নির্দেশ না মানছিলেন না সুলেখা।
সুলেখা র দাদা বাদশা শেখের অভিযোগ, ‘‘আমরাও তৃণমূল কংগ্রেস করি। কিন্তু আনোয়ারের অত্যাচার থেকে রেহাই মেলেনি। সেদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের নিয়ে সে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। বাড়িতে আমার মা এবং বোন ছিল। বাড়িতে ঢুকে আমার মায়ের উপর অত্যাচার করে। আমার অন্তঃসত্ত্বা বোনের পেটে লাথি মারা হয়। আমার বোনকে তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তার সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।’’
অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মেরে তার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূলের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতা আমিরুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা মানা যায় না। জানতে পেরেছি ওই পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তবে আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের শাস্তি চাই।’’