আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। একাধিক প্রশ্ন উঠছে, তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে। সহকর্মীর খুনের তদন্তের স্বার্থে, সিসিটিভি ফুটেজ আর পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দেখাতে হবে এই দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন ডাক্তাররা। শুধু তাই নয়, ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুতে একাধিক কলেজ হাসপাতালে পেন ডাউনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। অনড় ইন্টার্ন থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা আউটডোর পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর জেরে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে কার্যত অচলাবস্থা। এর জেরে চিকিৎসা পরিষেবাও কলকাতা থেকে শুরু করে জেলার একাধিক হাসপাতালে কার্যত শিকেয় উঠেছে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, গুরুতর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলেও জরুরি বিভাগে বলে দেওয়া হচ্ছে ডাক্তার নেই। এর জেরে বেজায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন রোগীর পরিবার। মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়রা কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কর্ম বিরতির ফলে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সমস্ত বহির বিভাগ বন্ধ। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার পাশাপাশি বিহার ও সিকিম এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। অন্যদিকে ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের বহি বিভাগ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রোগী সহ রোগীর আত্মীয়রা।
এদিকে, আন্দোলনকারীরা আজ রাজ্যজুড়ে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালের আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল জেলা হাসপাতালে অন্য চিত্র দেখা গেল। অনান্য দিনের মতো বুধবারও আসানসোল জেলা হাসপাতালের আউটডোর চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। তবে , ডাক্তারদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়ল না রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অনাময়ে।এদিন সকাল থেকে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা স্বাভাবিক।