পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Purulia case) ঘটনায় নতুন মোড়। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর দাবি, 'পুলিশ ষড়যন্ত্র করছে'। শনিবার সকালে তপন কান্দুর (Tapan Kandu) খুনের ঘটনায় তাঁর দাদা নরেন কান্দুকে গ্রেফতার করার পর জেলা পুলিশের দাবি ছিল, রাজনৈতিক কারণে নয়, পারিবারিক কারণেই খুন করা হয়েছে তপনকে। পুলিশের সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন পূর্ণিমা কান্দু। তিনি বলেন, "পুলিশ সব ষড়যন্ত্র করে নরেন কান্দুকে দিয়ে এইসব কথা বলাচ্ছে। আমি পুলিশের তদন্ত মানি না"।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ম্যাসকটের নাম ঘোষণা করল ফিফা, জেনে নিন তার পরিচয়
উল্লেখ্য, আইসি-র বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন পূর্ণিমা (Purnima Kandu)। পুলিশি তদন্তকে নস্যাৎ করে দিলেও হাইকোর্টের ওপর আস্থা রয়েছে তাঁর। তাঁর কথায়, "কিছুই যদি না হয়, তাহলে বড় আন্দোলনে নামব। সমস্ত ঝালদাবাসী আমার সঙ্গে রয়েছেন"।
প্রসঙ্গত, তপন কান্দু খুনের (Purulia case) ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে তপনের ভাইপো দীপক কান্দুকে। নরেন কান্দুকে গ্রেফতারের পর পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বলেছিলেন, 'এটা ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই। তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাইকে খুন করার চেষ্টা করছিলেন'।
গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য জয়ী কাউন্সিলর তপনকে গুলি করে (Purulia Case) মোটর বাইকে উঠে চম্পট দেয় কয়েক জন দুষ্কৃতী। পরে রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পূর্ণিমা কান্দুর দাবির পরে এই মৃত্যুরহস্য আরও প্রশ্ন তুলে দিল।