রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Rabindra Bharati University) নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত থামার আপাতত কোনও লক্ষণ নেই। এদিন বিষয়টি নিয়ে ফের বিবৃতি ও পালটা বিবৃতি জারি করা হয়েছে রাজ্যপাল ও সরকারের তরফে।
মুখমন্ত্রীকে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার প্রস্তাব দিয়ে বিধানসভায় আচার্য বিলের সংশোধনী রূপটি সম্প্রতি পাশ হয়েছে। যদিও সেই বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। ফলে সেটি আইনে কার্যকরী হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করা হয় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকী বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যয় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গত শুক্রবার।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাজ্যপালের তরফে টুইট করার পাশাপাশি প্রেস বিবৃতি জারি করে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে যে বিল পাশ হয়েছে তাতে এখনও রাজ্যপালের স্বাক্ষর হয়নি। তাই নিয়ম অনুয়াযী বিলটি এখনও আইনে রূপান্তরিত হয়নি। তাই রাজ্যপাল আচার্যের পদাধিকার বলে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁর বিবৃতিতে দাবি করেন, ২৪ জুন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে এই বিষয়ে নোট পাঠিয়েছিলেন। রাজ্যপালের আরও দাবি, তাঁর কাছে আচার্য বিলটি অসম্পূর্ণ ভাবে পাঠানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি তাঁকে পাঠানো হলেই তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন।
Amaravati Murder:নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থনের পর অমরাবতীতে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন, এনআইএ তদন্ত
শনিবার রাজ্যপালের এই বিবৃতির পর আসরে নামেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি রাজ্যপালের নাম না করে পালটা বিবৃতি জারি করেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন ২০২২ তারিখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করা হবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ২৫ জন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এই দেশের প্রতিটি নাগরিককে আইন ও বিধিগুলির সঙ্গে বিধানও মেনে চলতে হবে। যদি না আদালত কোনও ঘোষণা করেন। অর্থাৎ এই বিবৃতি জারি করে সরকার এটাই বলতে চেয়েছে যে, রবীন্দ্রভারতীতে রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাদের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আচার্য বিল নিয়ে তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড়। রাজ্যপাল যে বিবৃতি জারি করেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’