আবেগঘন ব্যক্তিগত মুহূর্তেই 'বিশেষ বন্ধু' সুপ্রিয়ার গলায় ছুরি চালিয়েছিল ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রবাল সরকার। পুলিশি জেরায় একথা নিজেই স্বীকার করে নেয় প্রবাল ওরফে ছোট ৷ তার আগে নিজের অভিসন্ধির কথা ঘুণাক্ষরেও সুপ্রিয়া দেবীকে জানতে দেয়নি সে ৷ রবিবার প্রবালকে তোলা হয় আদালতে ৷ তাকে আরও ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার আলিপুরদুয়ারের একটি হোটেল থেকে প্রবাল সরকার ওরফে ছোটোকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্তকে 'বিশেষ বন্ধু' খুন করেছেন বলেই ধারণা ছিল তাঁদের। সেই মতো তদন্তে নামে রায়গঞ্জ থানা। জানা যায়, এই 'বিশেষ বন্ধু'-এর সঙ্গে লকডাউনের সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় সুপ্রিয়ার। বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার এক হোটেল থেকে প্রবালকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন পরিকল্পনা মতোই নিজের ব্যাগে করে ধারাল অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল প্রবাল৷ কিন্তু খুনের আগে পর্যন্ত তার ব্যবহারে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ প্রায় ৪ বার আঘাত করে সে সুপ্রিয়াকে খুন করে বলে অভিযোগ।