রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারকে হেনস্থার অভিযোগ দলেরই যুবনেতার বিরুদ্ধে । যা নিয়ে শুক্রবার থেকেই হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে । পাপিয়ার অভিযোগ, যুবনেতা প্রতীক দে-র বিয়ের প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ার পর থেকেই ঝামেলা শুরু । তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে । ভয় ও আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না তিনি । তাঁকে ওয়ার্ডে বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ । কিন্তু এদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতীক দে । তাঁর দাবি, কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন পাপিয়া। এমনকী, ওই আধিকারিককে দিয়ে এলাকায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন পাপিয়া ।
প্রতীক দে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর । জানা গিয়েছে, প্রতীকের হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনীতিতে আসা পাপিয়ার । এলাকায় তাঁদের একসঙ্গেই দেখা যেত । দু'জনের মধ্যে শুধু দলীয় নয়, একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর । প্রতীক দে জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক । এখন যদি উনি অস্বীকার করতে পারেন । তাঁর আরও অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের একজন আধিকারিক ওনার বাড়িতে যান, দীর্ঘ সময় কাটান । তাঁর সঙ্গে উইকেন্ড ট্রিপেও যান পাপিয়া । এমনকী,সাধারণ মানুষকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এলাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা তোলারও চেষ্টা করেন পাপিয়া ।
পাপিয়ার অভিযোগ, তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না । বেরলেই, তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি উড়ে আসছে। পাপিয়ার কথায়, 'আমি বেরলেই এখন বলছে যে, কারও না কারও সঙ্গে হানিমুন করে আসছি। আর বাড়িতে থাকলে বলছে, কারও সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।' অন্যদিকে, প্রতীকের বক্তব্য দল তদন্ত করুক । দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তিনি, মাথা পেতে নেবেন ।
এদিকে, পুরসভার পুরপ্রধান বিষয়টাকে ব্যক্তিগত বলেই মনে করছেন । তাঁর কথায়, পুরসভা সংক্রান্ত পরিষেবা বিঘ্নিত হলে তিনি ব্যবস্থা নিতেন । ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না ।